বিদেশে পড়তে যাওয়ার ১ বছর আগে থেকেই কি কি করণীয় !

১. সার্টিফিকেট সংশোধন:

“প্রথমেই আপনার নিজের নাম এবং পিতামাতার নামের বানানে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করুন। আপনার জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট এবং পিতামাতার এনআইডির নাম যেন সবকিছুতে মিল থাকে। কারণ সামান্য ভুলও ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।”

২. পাসপোর্ট প্রস্তুত:

“পাসপোর্ট তৈরির সময় নিশ্চিত করুন যে, নাম এবং ঠিকানার বানান যেন সার্টিফিকেটের সাথে সঠিকভাবে মিলে। কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা অবশ্যই জরুরি।”

৩. শিক্ষা সনদপত্র সংগ্রহ:

“এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স বা মাস্টার্সের নম্বরপত্র এবং সনদপত্রগুলো আপনার বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করে রাখুন।”

৪. সনদপত্র সত্যায়ন:

“শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আপনার সনদগুলো সত্যায়িত করিয়ে রাখুন। এটি বিদেশে গিয়ে আপনার পড়াশোনার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে।”

৫. IELTS প্রস্তুতি:

“IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি আগে থেকেই শুরু করে দিন। কারণ কাঙ্খিত স্কোর না পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন মিস হতে পারে এবং এতে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।”

৬. স্কলারশিপের জন্য প্রস্তুতি:

“যদি স্কলারশিপের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে SAT/ACT বা GRE/GMAT এর প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। এটি আপনাকে স্কলারশিপ পেতে সহায়তা করবে।”

৭. রেকমেন্ডেশন লেটার:

“আপনার পরিচিত দুইজন শিক্ষকের কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার সংগ্রহ করে রাখুন, যা ভিসা প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

৮. SOP প্রস্তুতি:

“SOP (Statement of Purpose) লেখার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন। এটি আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার একটি মূল অংশ। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন এবং নিজের মতো করে SOP লিখুন।”

৯. বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন:

“যে দেশে পড়তে যেতে চান, সেই দেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করুন, যেখানে আপনার পূর্বের পড়াশোনার সাথে মিল রয়েছে এমন বিষয় রয়েছে।”

১০. বাজেট এবং শহরের পছন্দ:

“আপনার বাজেট এবং পছন্দের শহরের কথা মাথায় রেখে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন এবং তাদের আবেদনের ডেডলাইন দেখে আগেভাগেই আবেদন করে ফেলুন।”

১১. ভলেন্টিয়ার কাজ:

“স্কলারশিপ বা ভিসা পেতে চাইলে কোনো ভলেন্টিয়ার সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকুন এবং এর প্রমাণও সংরক্ষণ করুন। এটি আপনার আবেদন প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে।”

১২. রান্না শেখা:

“বিদেশে গিয়ে নিজে রান্না করতে হতে পারে, তাই দেশ থেকে রান্নার প্রাথমিক বিষয়গুলো শিখে নেয়া ভালো।”

১৩. ড্রাইভিং শেখা:

“যদি সম্ভব হয়, ড্রাইভিং শিখে নিন এবং একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স করে ফেলুন। আরও ভালো হয় যদি আপনি একটি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করেন।”

১৪. কম্পিউটার স্কিল:

“কম্পিউটারে যেমন মাইক্রোসফট অফিস, ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্টের কাজ শিখে নিন এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখুন। এটি বিদেশে আপনার পেশাগত জীবনে সহায়ক হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *